চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে একটি লেভেল ক্রসিংয়ে উঠে পড়া পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১১ জন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত আরও ৩ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার কবলে পড়া মাইক্রোবাসটিতে ছিলেন হাটহাজারীর কলেজছাত্র তানভীর হাসান হৃদয়। তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এখন। তবে এই দুর্ঘটনায় তার ১১ সহযাত্রীকে হারিয়েছেন।
হাসপাতালে তানভীর হাসান হৃদয় জানান, আমানবাজারের আর অ্যান্ড জে প্রাইভেট কেয়ার নামে কোচিং সেন্টারে তিনি পড়তেন। সেখান থেকে শুক্রবার সকালে শিক্ষক ও ছাত্রসহ তারা মাইক্রোবাসে করে খৈয়াছড়া ঝরনায় ঘুরতে গিয়েছিলেন।ফেরার পথে দুপুর সোয়া ১টার দিকে মিরসরাইয়ের বার তাকিয়া রেলস্টেশন এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তারা।
হৃদয় আরও বলেন, গাড়িতে চালকসহ আমরা ১৫ জন ছিলাম। তাদের মধ্যে আমাদের কোচিংয়ের শিক্ষক জিসান, রিদোয়ান, রাকিব ও সজিব স্যার ছিলেন। আমি গাড়িতে ঘুমিয়েছিলাম। দুর্ঘটনা কখন হয়েছে, কীভাবে হয়েছে কিছু মনে নেই। ঘটনার পর অজ্ঞান ছিলাম আমি।
মিরসরাই থানার এসআই সৈয়দ আহমেদ জানান, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসা মহানগর প্রভাতীর ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত হয়েছেন।
রেলওয়ে পুলিশের চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার হাসান চৌধুরী বলেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী মহানগর প্রভাতী ট্রেন ও মাইক্রোবাসের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ১১ জন নিহতের খবর শুনেছি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, খৈয়াছড়া ঝরনা পর্যটনকেন্দ্র থেকে ফেরার পথে বার তাকিয়া রেলস্টেশন এলাকায় ট্রেনটি ধাক্কা দেয়। মাইক্রোবাসে মোট ১৫ আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে ১১ জন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর একজন সুস্থ আছেন।তিনি ট্রেন ধাক্কা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লাফিয়ে মাটিতে পড়ে যান।
পূর্ব রেলের বিভাগীয় পরিবহণ কর্মকর্তা আনসার আলী বলেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ওই লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার মুখে খৈয়াছড়াগামী একটি পর্যটকবাহী মাইক্রোবাস লাইনে উঠে পড়ে। ধাক্কা লাগার পরই মাইক্রোবাসটি ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে আটকে যায়, ওই অবস্থায় মাইক্রোবাসটিকে প্রায় ১ কিলোমিটার পথ ছেঁচড়ে নিয়ে থামে ট্রেন।
সূত্র : যুগান্তর